শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীগঞ্জে লটারির মাধ্যমে ১৩ ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ লাখাইয়ে পুলিশ দেখে ভয়ে পালাতে গিয়ে যুবলীগ নেতার মৃত্যু হবিগঞ্জে ২২ বছর পর হত্যা চেষ্টা মামলার রায়ে ৮ জনই খালাস ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে হবিগঞ্জের ৩ যুবক আটক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে গাঁজাসহ কারবারি গ্রেফতার মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে দুদকের হবিগঞ্জ উপ-পরিচালকসহ ৩ সদস্যের অভিযান লাখাইয়ে পার্টানার কংগ্রেস কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জে ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশ নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা মাধবপুরে দুনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির বির্তক প্রতিযোগিতা বানিয়াচংয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ॥ দেখার যেন কেউ নেই
মাধবপুরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভারতীয় চিনির রমরমা ব্যবসা!

মাধবপুরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভারতীয় চিনির রমরমা ব্যবসা!

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর পৌরসভার বাজারে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা ব্যবসা চলছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে টনের টন চিনি ট্রাক থেকে আনলোড হচ্ছে। এ চোরাইমাল নির্বিঘ্নে প্রবেশের সাথে জড়িত স্থানীয় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতারা। চোরাকারবারিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে চিনি আনার পথ সুগম করে দিচ্ছে।  ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন গুদামে তা সংরক্ষিত করা হলেও দেখার কেউই নেই। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ওইসব চিনি প্রায় দ্বিগুন লাভে বাজারে প্রবেশ করে  ডিলারের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে দেশীয় চিনি শিল্প। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাধবপুর পৌর শহরের পশ্চিম বাজার প্রাণতোষ রায়ের চারতলার নিজস্ব ভবনের নিচতলায় দক্ষিণ পাশে একটি অবৈধ চিনির গোডাউন রয়েছে। এখানে প্রতিদিন ভারতীয় চিনি লোড আনলোড হয়। এছাড়া মাধবপুর মোদক পট্টি, মুদি দোকান লক্ষী ভান্ডারের মালিক ও মোদক পট্টি মুদি দোকানের মালিক হরি ও অবৈধ চিনি গুদামজাত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী রুহুল আমিন খান উজ্জ্বল জানান, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আসা অবৈধ ভারতীয় চিনিতে সয়লাব মাধবপুর বাজার। আমি এসবের ভিডিও প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একাধিকবার প্রেরণ করেছি। রহস্যজনক কারনে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় একাধিক সূত্র ও অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, ভারতীয় চিনি বিক্রি করা ব্যবসায়ীর তালিকা পাওয়া গেছে। তারা হলেন- পলাশ রায়, মাধবপুর পৌরসভা মামনি হাসপাতালের পাশে যিনি স্থানীয় সেবক রায়ের বাসার ভাড়াটিয়া, স্বপন রায়, স্বপন এন্ড সন্স এর স্বত্বাধিকারী, মাধবপুর বাজার মোদক পট্টির দুধ মিয়া স্টোর এর স্বত্বাধিকারী মিজান মিয়া, অজিত পাল, মাধবপুর বাজার পিয়াজ পট্টির মুদি দোকানদার, দুলাল পাল, মাধবপুর বাজার সবজি বাজারের পাশে চা পাতা ব্যবসায়ী ও মাধবপুর বাজার ভাই ভাই স্টোর এর স্বত্বাধিকারী জোতিষ। এ ব্যাপারে মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তা রিসিভ হয়নি। কাস্টমস এন্ড এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার অনুপ দত্ত জানান, যদি এমন হয় বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। আমরা দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com