মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর পৌরসভার বাজারে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা ব্যবসা চলছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে টনের টন চিনি ট্রাক থেকে আনলোড হচ্ছে। এ চোরাইমাল নির্বিঘ্নে প্রবেশের সাথে জড়িত স্থানীয় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতারা। চোরাকারবারিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে চিনি আনার পথ সুগম করে দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন গুদামে তা সংরক্ষিত করা হলেও দেখার কেউই নেই। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ওইসব চিনি প্রায় দ্বিগুন লাভে বাজারে প্রবেশ করে ডিলারের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে দেশীয় চিনি শিল্প। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাধবপুর পৌর শহরের পশ্চিম বাজার প্রাণতোষ রায়ের চারতলার নিজস্ব ভবনের নিচতলায় দক্ষিণ পাশে একটি অবৈধ চিনির গোডাউন রয়েছে। এখানে প্রতিদিন ভারতীয় চিনি লোড আনলোড হয়। এছাড়া মাধবপুর মোদক পট্টি, মুদি দোকান লক্ষী ভান্ডারের মালিক ও মোদক পট্টি মুদি দোকানের মালিক হরি ও অবৈধ চিনি গুদামজাত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী রুহুল আমিন খান উজ্জ্বল জানান, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আসা অবৈধ ভারতীয় চিনিতে সয়লাব মাধবপুর বাজার। আমি এসবের ভিডিও প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একাধিকবার প্রেরণ করেছি। রহস্যজনক কারনে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় একাধিক সূত্র ও অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, ভারতীয় চিনি বিক্রি করা ব্যবসায়ীর তালিকা পাওয়া গেছে। তারা হলেন- পলাশ রায়, মাধবপুর পৌরসভা মামনি হাসপাতালের পাশে যিনি স্থানীয় সেবক রায়ের বাসার ভাড়াটিয়া, স্বপন রায়, স্বপন এন্ড সন্স এর স্বত্বাধিকারী, মাধবপুর বাজার মোদক পট্টির দুধ মিয়া স্টোর এর স্বত্বাধিকারী মিজান মিয়া, অজিত পাল, মাধবপুর বাজার পিয়াজ পট্টির মুদি দোকানদার, দুলাল পাল, মাধবপুর বাজার সবজি বাজারের পাশে চা পাতা ব্যবসায়ী ও মাধবপুর বাজার ভাই ভাই স্টোর এর স্বত্বাধিকারী জোতিষ। এ ব্যাপারে মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তা রিসিভ হয়নি। কাস্টমস এন্ড এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার অনুপ দত্ত জানান, যদি এমন হয় বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। আমরা দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করব।
Leave a Reply