চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ সরকারের বরাদ্দকৃত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের গভীর নলকূপ স্থাপনে অনিয়ম ও সরকারি ফি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চুনারুঘাটের সহকারি প্রকৌশলী মহিউদ্দিন ও মেকানিক মুক্তার মিয়া বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ১১ জন (স্বাক্ষরিত) বাদী হয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা আক্তারের বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ থেকে জানা যায়, চুনারুঘাট-মাধবপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী উপজেলায় ১৩০টি নলকূপ বরাদ্দ পান। প্রথম তালিকায় ১৭টি, দ্বিতীয় তালিকায় ৪৫টি এবং তৃতীয় তালিকায় ৪৪ টিসহ মোট ১০৬টি গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য সহকারি প্রকৌশলীকে তালিকা দেয়া হয়। ১ম তালিকায় ১৭টি নলকূপ স্থাপনের জন্য সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন ভোক্তভোগীদের সরকারি ফি চালানের মাধ্যমে জমা দেয়ার জন্য বলেন। পরবর্তীতে নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা করেন সহকারী প্রকৌশলী চুনারুঘাট কার্যালয়ে জমাকৃত চালানের কপি দাখিল করেন। সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন ও মেকানিক মোঃ মোক্তার হোসেন প্রতিমন্ত্রীর বরাদ্দ কর্তৃক নলকূপ স্থাপনের তালিকা বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনত্র নলকূপ স্থাপন করেছেন। অথচ ভোক্তভোগীরা দীর্ঘ ৮ মাস আগে চালানের কপি অফিসে জমা দিলেও তাদের নলকূপ দিমু দিচ্ছি বলে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানী করছেন। বর্তমানে অফিসার বদলি হয়ে যাওয়ায় মেকানিক মোক্তাদিরের কাছে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি এসব জানিনা। তিনি জানান পূর্বে হিসাব শেষ বর্তমানে টাকা দিলে আমরা দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী মহোদয়ের পিএস বেলাল সাহেবের তালিকা অনুযায়ী দিয়েছি।
Leave a Reply