স্টাফ রির্পোটার ॥ রোপা আমনের মাঠ জুড়ে হাওয়ায় দুলছে পাকা ও আধা পাকা সোনালি ধান। কিছু এলাকায় ধান কর্তন শুরু হলেও এখনও পুরো দমে শুরু হয়নি। আগামি এক সাপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে পুরো দমে ধান কর্তন। তখন দম ফেলার ফুরসত তাকবে না কৃষক-কৃষানীর মাঝে। শুরু হবে মহাব্যস্ততায়। এই চিত্র দেখা যাবে হবিগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চল আজমিরীগঞ্জ উপজেলায়।
এই উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষি পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার। ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বলে চাষি ও উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরে তৃতীয় সাপ্তাহ শেষ হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৭ হাজার ১৯০ হেক্টর রোপা আমন জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এ বছর আবহাওয়ার অনুকুলে তাকায় সঠিক সময়ে বৃষ্টি ও পোকামাকড়ের আক্রমন কম হওয়াতে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধারণ করা হয়েছে ৩৩হাজার মেট্রিক টন ধান।
পৌর এলাকার কৃষক তামিম মিয়া বলেন, এ বছর তিনি তিন ১১ কিয়ার জমিতে রোপ আমন জমিতে বিনা-৭ জাতের ধান চারা রোপন করেছিলে। সঠিক সময়ে বৃষ্টি ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সাপ্তাহে তিনি ধান কর্তন করে ফসল ঘরে তুলবেন।
সরেজমিনে উপজেলার হাওর ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন হাওরে বাতাসে দুল খাচ্ছে কাঁচা পাকা ধান। কিছু কিছি হাওরে কম্ভাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কর্তন শেষ করে একই মেশিনে মাড়াই করে ঘরে তুলছে ধান।
কৃষক সিপন মিয়া বলেন, ‘ ১৫ কিয়ার জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন, ৪/৫ কিয়ার জমির ধান কর্তন করেছেন। সেই ধানের বাজারে মূল্যে ভালো তাকায় তিনি বিক্রি করেছেন। বাকি জমির ধান কাটতে আরো কযেদিন সময় লাগবে। বাজারে ধানের মূল্য এমন তাকলে তিনি লাভবান হবে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফে আল মুঈজ বলেন, এই বছর রোপা আমন আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে তাকায় সঠিক সময়ে বৃষ্টি ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ তুলনামূলক কম হওয়ায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হচ্ছে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ধান। ইতোমধ্যে ধান কর্তন শুরু হয়েছে যা ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
Leave a Reply