মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন

মৌলভীবাজারে সৌরবিদ্যুতের ব্যবসায় আসছে প্রাণ-আরএফএল

মৌলভীবাজারে সৌরবিদ্যুতের ব্যবসায় আসছে প্রাণ-আরএফএল

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ এবার সৌরবিদ্যুতের ব্যবসায় আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ–আরএফএল। তারা সৌর থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করতে চায়। তাদের বিদ্যুৎ কিনবে বিশ্বের খ্যাতনামা পোশাক বিপণনকারী সুইডিশ ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএমকে (হেন্স অ্যান্ড মরিটজ) পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত সমন্বিত কৃষি খামারে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এই জ্বালানি উৎপাদনে তাদের অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। প্রাথমিকভাবে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে আজ সোমবার শুরু হওয়া বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আগামী বুধবার এ বিষয়ে এইচঅ্যান্ডএম, প্রাণ আরএফএল ও আইএফসির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হবে। জানা গেছে, মৌলভীবাজারের প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সমন্বিত কৃষি খামার রয়েছে। সেখানে তাদের ৩৫০ একর জমি রয়েছে। এই জমিতে সৌর প্যানেল স্থাপন করতে চায় গ্রুপটি। সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনবে এইচঅ্যান্ডএমকে পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও তা ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহের ক্ষেত্রে দেশে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। ফলে দ্রুত নীতিমালা তৈরির তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বিশ্বের বড় ক্রেতারা কার্বন নিঃসরণ টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে নজর দিচ্ছেন। এর মধ্যে এইচঅ্যান্ডএম পরিবেশের ওপর প্রভাব কমাতে এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীদের কাছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিক্রি করতে চায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করব। এ ক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য সরকারকে নীতি সহায়তা দিতে হবে। যত দ্রুত নীতি সহায়তা দেওয়া হবে, তত দ্রুত আমরা কাজ শুরু করতে পারব। প্রাথমিকভাবে আইএফসি থেকে অর্থায়ন নেওয়া হবে। পরে যেখান থেকে কম সুদে অর্থ মিলবে, সেখান থেকে নেওয়া হবে।’
প্রয়াত শিল্পপতি আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮১ সালে ৪২ বছর বয়সে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে শুরু করেছিলেন ফাউন্ড্রি বা টিউবওয়েল তৈরি ও আবাসনের ব্যবসা। সম্বল ছিল পেনশনের টাকা। তবে আবাসন ব্যবসা তিনি বেশি দিন করেননি। আবাসন ব্যবসা বাদ দিয়ে ফাউন্ড্রি ব্যবসায় বেশি নজর দেন তিনি। আমজাদ খান চৌধুরী রংপুরে ফাউন্ড্রি প্রতিষ্ঠা করেন। এর নাম দেন রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল)। এরপর তিনি প্রবেশ করেন খাদ্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজারে। ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ৩১টির বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের। প্রাণের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com