স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিরপুর ছাগলের হাটে হাসিল বা খাজনার নামে কয়েকগুন বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। পশুর ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, এটা রীতিমতো চাঁদাবাজি! প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইজারাদাররা গলাকাটা হাসিল নিচ্ছেন। এ নিয়ে ইজারাদার ও তাদের লোকজনের সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতার প্রায়ই হট্টগোল হচ্ছে। এছাড়াও বাজারের কোথাও নেই খাজনা আদায়ের চার্ট। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে সর্বশেষ সমন্বয় করা সরকারি নিয়মানুযায়ী ছাগল প্রতি ৭ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত হাসিল আদায় করা যাবে। এছাড়াও বাজারের দৃশ্যমান স্থানে টোল চার্ট টাঙানোর নির্দেশনা রয়েছে। সরেজমিনে মিরপুর ছাগলের হাটে গিয়ে দেখা যায়, ছাগল প্রতি ১২ শতাংশ হারে ১ হাজার টাকারও বেশি হাসিল আদায় করা হচ্ছে। নেই কোন টোল চার্ট।
ছাগল ক্রেতা বাহুবল উপজেলার চক্রামপুর গ্রামের ফারুক মিয়া বলেন, আমি ২টি ছাগল ১৭ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি, ২০০০ টাকা হাসিল দিতে হয়েছে। এই বাজারে আসলে খুবই নির্যাতিত হওয়া লাগে। আরেক ক্রেতা নয়াগাঁও এলাকার আঃ আহাদ জানান, তিনি ৩২০০ টাকা দিয়ে ছাগল ক্রয় করে ৩৮০ টাকা হাসিল দিয়েছেন। বাজারে আসা অন্য আরেক ক্রেতা বলেন, এ হাটে রীতিমতো চাঁদাবাজি চলছে। বাজারের ইজারাদার হেলাল চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন। একই বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply