শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাকাইলছেও- রসুলপুর সড়ক বর্ষা মৌসুমে  চলাচলে চরম দুর্ভোগ মালয়েশিয়ায় আজমিরীগঞ্জের প্রবাসী মহিবুরের মৃত্যু শোকার্ত পরিবার সাবেক এমপি মজিদ খানের পুকুরপাড়ে বজ্রনিরোধক যন্ত্র শেখ হাসিনা ও মাহবুব আলীসহ ৫ জনের বিরোদ্ধে মামলার প্রস্তুতি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হবিগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে পুলিশের ভুমিকা মাধবপুরে ৫২ মাদক কারবারি গ্রেফতার॥ মূলহোতারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে মাধবপুরের আজহার কিশোরগঞ্জে ৪০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ হবিগঞ্জে সরকারী কলেজ শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা জেলা কমিটি গঠন মাদক, বাল্য বিবাহ ও ইন্টানেটে আসক্তি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের শপথ
মৃত্যু ছাড়া আমাকে কেউ জনগণের কাছ থেকে আলাদা করতে পারবে না

মৃত্যু ছাড়া আমাকে কেউ জনগণের কাছ থেকে আলাদা করতে পারবে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন, হবিগঞ্জ পৌরসভার মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, যে সম্মান দেখিয়েছেন, আমার বিপদে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, জনগণের কাছ থেকে মৃত্যু ছাড়া কেউ যড়যন্ত্র করে আমাকে আলাদা করতে পারবে না।
তিনি গতকাল রবিবার বিকালে শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত মহিলা সমাবেশে এসব কথা বলেন।
সমাবেশে জি কে গউছ আরও বলেন, যখনই হবিগঞ্জের উন্নয়নে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে গিয়েছি তিনি দুই হাত ভরে দিয়েছেন। এম এ রব ব্রীজ, কিবরিয়া ব্রীজ ও মাছুলিয়া ব্রীজ করেছি। কামড়াপুর থেকে নছরতপুর পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেছি।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে আমি হবিগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্ব নিয়ে সকল ধর্মের মানুষের জন্য কাজ করেছি। দল ও মতের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলাম। জনগণকে পৌরসভার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। পৌর এলাকার কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা-মাতার দায়িত্ব নিয়ে গণবিয়ের আয়োজন করেছি। দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের সুন্নাতে খতনার ব্যবস্থা করেছি। অর্থের অভাবে যেসব শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতে পারেনি তাদের দায়িত্ব নিয়েছি। বই দিয়েছি, ড্রেস দিয়েছি, ব্যাগ দিয়েছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতনের ব্যবস্থা করেছি। পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্য। তাই পৌরসভায় বৈশাখী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। পৌরসভার মাঠে খতমে কোরআন মাহফিল করেছি। পৌর এলাকার পবিত্র হজ্বযাত্রীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বছর দুইবার সংবর্ধনা দিয়েছি। পৌর এলাকার সম্মানীত খতিব, ইমাম ও মোয়াজ্জিন সাহেবকে দুটি ঈদে পৌরসভার পক্ষ থেকে সম্মানী দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। দুর্গাপূজায় প্রতিটি মন্ডপে অনুদানের ব্যবস্থা করেছি। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীতে বই মেলার আয়োজন করেছি। যে মেলাতে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদগণকে নিয়ে এসেছি। যারা চিকিৎসা করাতে পারেনি তাদের জন্য ঔষুধের ব্যবস্থা করেছি। এসব কাজের মাধ্যমে পৌরবাসীর হৃদয় জয় করেছিলাম। কিন্তু আমি পৌরসভা থেকে চলে আসার পর রাজনৈতিক কারণে এই ভালো কাজগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যারা এই কাজগুলো বন্ধ করেছে তারা এখন সমাজে নাই। ইনশাআল্লাহ, আমি বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পেলে আবারও পৌরসভায় এই ভালো কাজগুলো চালু হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র জনতা রক্ত দিয়ে এই দেশকে ২য় বার স্বাধীন করেছে। আমরা তাদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমরা এখন সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি, নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, হাজী নানু মিয়া, আরব আলী, ভানু বণিক, আব্দুর রউফ, ইউনুছ আলী, যুবদল নেতা শেখ মামুন, রীনা বেগম, রোকেয়া বেগম, সফর চান, আয়েশা বেগম, আছমা বেগম, শাহানা বেগম, শ্রীমতি সরকার, রীনা বেগম প্রমুখ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com