মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

আসামপাড়ার হাসিম মেম্বার ভূয়া ভিসা দিয়ে লিবিয়ায় আল আমিনকে বিক্রীর অভিযোগ

আসামপাড়ার হাসিম মেম্বার ভূয়া ভিসা দিয়ে লিবিয়ায় আল আমিনকে বিক্রীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় লিবিয়ায় গিয়ে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি ২৭ শ্রমিক। ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছেন না বেতন-ভাতা। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসাসেবা। এছাড়া যোগাযোগ করতে দেয়া হয় না দেশের সাথেও। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকারও তারা। বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতনের শিকার ওই শ্রমিকরা গোপনে এক ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। তারা সবাই লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলীর মিশরাতা এলাকায় একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে চাকরিরত। ভিডিও বার্তায় ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বলেন, তাদের খাওয়া-দাওয়া ও বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না। নানা ধরণের নির্যাতন করা হচ্ছে। রিক্রুটিং এজেন্সি ও নিয়োগকর্তা তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। বাংলাদেশের সরকার প্রধান যাতে তাদের উদ্ধার করে। জানা যায়, লিবিয়ায় আটক ও নির্যাতনের শিকার ২৭ ভুক্তভোগী হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, নওগাঁ, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউপির টেকারঘাট গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিন মিয়া নিজেসহ সবার মুক্তির দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগী আল-আমিন জানান, রিক্রুটিং এজেন্সি ও নিয়োগকর্তা তাদের সাথে প্রতারণা করে বিক্রি করে দিয়েছে। ভুয়া ভিসা দিয়ে তাদের লিবিয়ায় পাঠিয়েছে। তারা জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তারা আইনগত সহযোগিতা পাচ্ছেন না। আল আমিন এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন চুনারুঘাটের আসামপাড়ার হাসিম মেম্বার তাকে ভূয়া ভিসা দিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে তাকে বিক্রী করে দিয়েছে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ভুক্তভোগী শ্রমিকদের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার জানান, আমরা ওই শ্রমিকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তাদের দাবি-দাওয়াগুলো পূরণের জন্য সরকারি পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বারবার নোট দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরি উদ্যোগ নিলে দ্রুত তাদের দেশে পাঠানো সম্ভব হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নাস বোর্ডের উপ-সহকারী পরিচালক মালিকা বেগম জানান, এই ধরণের ঘটনায় আমরা সে দেশের দূতাবাসে চিঠি পাঠিয়ে দেই। তারাই উদ্ধারের কার্যক্রম করে থাকেন। তবে এই বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখব। এদিকে ভুক্তভোগী স্বজনদের দাবি, বৈধ ভিসা-পাসপোর্ট নিয়েও লিবিয়া গিয়ে নিয়োগকর্তা ও রিক্রুটিং এজেন্সির দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ ও তাদের ভুয়া ভিসা প্রদানের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত এবং ভুক্তভোগীদের অনতিবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com