স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ১১নং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোঃ আদিল জজ মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অগ্রিম ট্যাক্স আদায়, ভুয়া প্রকল্প তৈরি, মেম্বারদের ভাতা, পুজা মণ্ডপের বরাদ্দ, মেম্বারদের স্বাক্ষর সিল জালিয়াতি করে অস্থিত্বিহীন প্রকল্প দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এমনকি নিজের ক্ষমতাবলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে অগ্রীম ট্যাক্স আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে পকেট ভারি করতেন। আর এসব কাজে চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করেন পরিষদের সচিব সজল দত্ত। গত ২০২৪ সালের ৩০ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগ উল্লেখ করে ১০ মেম্বার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি আবু জাহিরের মাধ্যমে অভিযোগকারী মেম্বারকে হুমকি ধামকিসহ অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে আবু জাহিরের হস্তক্ষেপে অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত ১৩টি অভিযোগের মধ্যে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকতা। এ দিকে ঐ ইউনিয়নের অর্ন্তগত হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক (প্রাণ আরএফএল) এর কাছ থেকে ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অগ্রিম ট্যাক্স আদায় করে ৬ লাখ টাকা আত্মসাত করেন ইউপি চেয়ারম্যান জজ মিয়া। বর্তমানে সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার একাধিক মামলার আসামী হয়ে পলাতক রয়েছে।
অগ্রিম ট্যাক্স আদায় ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সজল চন্দ্র দত্ত বলেন, অগ্রীম ট্যাক্স আদায়ের কোনো বিধান নেই। এ সময় টাকা আত্মাসাতের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। একই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব হোম দাস বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। অগ্রীম আদায়কৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। চেয়ারম্যান পলাতক আছেন, তার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply