শুক্রবার, ১১ Jul ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

টাকা ফেরত চাওয়ায় হত্যা করা হয় ফারুককে দুই আসামীর স্বীকারোক্তি

টাকা ফেরত চাওয়ায় হত্যা করা হয় ফারুককে দুই আসামীর স্বীকারোক্তি

 

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুরে কৃষক ফারুক হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ আলী রুবেল(৩২)ও বিধান কর্মকারকে (৩৫) গ্রেফতার করে। এর মধ্যে বিধান কর্মকার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে গতকাল শনিবার বিকালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। চাকুরীর জন্য দেওয়া দেড় লাখ পাওনা টাকা ফেরতের জন্য চাপ দেওয়ায় কাল হল ফারুকের। পরিকল্পিতভাবে কয়েকজন মিলে ফারুককে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ বাঁশ ঝাড়ের জঙ্গলে নিয়ে ফেলে রাখে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে হত্যাকান্ডে জড়িত বিধান কর্মকার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় বহরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মোঃ নাজির আহাম্মেদের ছেলে মোহাম্মদ আলী রুবেল(৩২), বুল্লার গ্রামের মৃত মতি লাল কর্মকারের ছেলে বিধান কর্মকার (৩৫)কে গ্রেফতার করে। গত ১৩ মে মনতলা বাজার থেকে নিখোঁজ হওয়া ফারুক মিয়ার গলিত লাশ গত শুক্রবার দুপুরে বহরা ইউনিয়নের মনতলা কলেজের দিঘীরপাড় বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত ফারুক মিয়া বহরা ইউনিয়নের আফজালপুর গ্রামের মৃত ছায়েব আলীর ছেলে। নিহতের ছেলে আতিকুল জানান, গত ১৩ মে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর মনতলা বাজার এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর তিনি ১৪ মে মাধবপুর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন মনতলা কলেজের পূর্বদিকে দিঘীর পাড় নামক স্থানে একটি বাঁশঝাড়ে একটি অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারুকের লাশ শনাক্ত করেন। ফারুকের ছেলে আতিকুলের অভিযোগ পূব বিরোধের জেরে তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় মাধবপুর থানায় মামলা করেন। মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘাতকদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com