স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পূর্ব জাহিদপুর গ্রামের ধর্ষণ মামলার আসামী মবু মিয়া, ছাও মিয়া ও খরছু মিয়া হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেই মামলার বাদীকে হুমকি প্রদর্শন। মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়ায় বিধবা মহিলা নিরাপত্তা হীনতায় দিন যাপন করছেন। মামলা সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর গ্রামের জনৈক নিরীহ বিধবা মহিলার স্বামী ৩/৪ বছর পূর্বে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি তার পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছেন। মাঝে মধ্যে তিনি স্বামীর বাড়ীতে থাকতেন। অপরদিকে মবু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মাঝে মধ্যে সৌদি আরব থেকে ছুটি নিয়ে দেশে আসেন এবং একপর্যায়ে পূর্ব জাহিদপুর গ্রামের রহমত আলীর মাধ্যমে মবু মিয়ার সাথে পরিচয় হয় ওই বিধবা মহিলার সাথে। এ পরিচয়ের সুবাধে তাকে সৌদি আরব পাঠানোর প্রভোলন দিয়ে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নগদ হাতিয়ে নেয় রহমত আলী। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও তাকে সৌদি আরব না নিয়ে নানা তাল-বাহানা করে। এমতাবস্থায় একই গ্রামের ছাও ও খরছু মিয়ার কাছে বিচার প্রার্থী হন ওই বিধবা মহিলা। তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরে ওই মহিলা আবারও যান মবু মিয়ার কাছে। গত ১২ নভেম্বর সন্দ্যা-রাতে সিএনজি যোগে মবু মিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পূর্ব জাহিদপুর ও বরকতপুর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে যাওয়ার পর সিএনজি থেকে মবু মিয়া দলবদ্ধভাবে গণ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে নবীগঞ্জ থানাকে মামলা এফআইআর ভুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামলা এফআইআর ভুক্ত করেন। পরে আসামীগণ মহামান্য হাইকোর্ট থেকে সম্প্রতি জামিন লাভ করেন মবু মিয়া গংরা। জামিন লাভ করার পরই মবু মিয়া গংরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য মামলার বাদী ওই বিধবা মহিলাকে নানা প্রকার চাপ সৃষ্টির একপর্যায়ে হুমকি প্রদর্শন করে। এতে মামলার বাদী নিরাপত্তা হীনতায় দিন যাপন করছেন। এব্যাপারে মামলার বাদী বিধবা মহিলা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান।
Leave a Reply