বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলের আনারস যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তদবীরে পার পেয়ে যাবার অভিযোগ ধরা ছোঁয়ার বাহিরে লাখাইর যুবলীগ নেতা নোমান বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গরু মৃত্যুর ঘটনায় কৃষককে ১ লাখ টাকা সহায়তা দিল পল্লী বিদ্যুৎ পৃথক অভিযানে ১২ লাখ টাকার চোরাইপণ্যসহ ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বিজিবি লাখাইয়ে পৃথক অভিযানে খুনের মামলার আসামী সহ গ্রেফতার ৩ মাচায় গ্রীষ্মকালীন নানা রঙের তরমুজ চাষে কৃষক আবারও বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জনকে পুশইন করল বিএসএফ হবিগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ মেলার উদ্বোধন বাহুবলের মহাশয় বাজারে দুঃসাহসিক চুরি ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা নবীগঞ্জের চেয়ারম্যান রানাকে সিলেটে ‘গণপিটুনি’ পুলিশে দিল জনতা
বিডিআর বিদ্রোহ শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের নামে হত্যা মামলা

বিডিআর বিদ্রোহ শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের নামে হত্যা মামলা

২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ, পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও হাসানুল হক ইনু।

এ ছাড়া ২০১০ সালের জুলাইয়ে দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার এবং কারাগারের চিকিৎসকদেরও আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের প্রধান শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও ওই মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবা আব্দুর রহিমকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার মধ্যে হত্যার চেষ্টা করে কয়েকজন। কিন্তু সাধারণ সৈনিকেরা তার বাবাকে রক্ষা করেন। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে কোনো একদিন ডিএডি আব্দুর রহিমকে পিলখানার ঢাকা সেক্টরের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে জেনারেল আজিজ ও আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ আরও কয়েকজন পিলখানার ঘটনার রাজসাক্ষী হতে বলেন।

এতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই বাদীর বাবার শরীরে ইনজেকশন পুশ করে তাকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com