বাহুবল প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার গাংধার গ্রামে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহত ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, বিগত ৩ মাস পূর্বে গাংধার গ্রামের দীপক সূত্রধর ও তাদের লোকজনের পার্শ্ববর্তী জমিজমায় যাওয়ার রাস্তায় প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে প্রতিপক্ষ তপন সূত্রধর ও তাদের লোকজন রাস্তার মাঝখানে বেড়া দিয়ে ফেলে। ফলে দীপক সূত্রধরের লোকজন চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়টি দীপক ও তার লোকজন স্থানীয় মুরুব্বীয়ানের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি সালিশে নিষ্পত্তিকল্পে মনোরঞ্জন রায়, মাস্টার চন্দন অধিকারী, খেলন রায়, পরিতোষ, অজয় শীল, সঞ্জয় ধর সহ মুরুব্বীরা চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রভাবশালী তপন সূত্রধর, বাবু লাল সুত্রধরসহ তাদের লোকজন সালিশ অমান্য করে রাস্তা বন্ধই রাখে। এভাবে অমানবিকভাবে চলতে থাকে প্রায় ৩ মাস। অবশেষে দীপক সূত্রধরের লোকজন তাদের নিজ সীমানার রাস্তায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টারদিকে বেড়া দিয়ে ফেলে। এতে তপনের লোকজনেরও চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে তপনের লোকজন জোর পূর্বক বেড়া উপড়িয়ে ফেলে। ফলে ওই সময়ই উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ মুখোমুখী হলেও তপন, বাবুলাল, চন্দন, অর্পন, গোপাল, দুলাল, মনোরঞ্জন, মনোধীরসহ তাদের লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় দা রামদা ও ফিকল নিয়ে দীপকের লোকজনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এতে দীপক, ইন্দ্রজিৎ, অজিৎ, শিমুল ও শিশু প্রীতম সূত্রধর রক্তাক্ত আহত হন। অপরপক্ষে তপন সূত্রধর রক্তাক্ত আহত হন। আহতদের বাহুবল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষের পরপরই স্থানীয় চেয়ারম্যান রাহিন, মুরুব্বী আব্দুল আহাদ, সাবাজ মিয়া, লক্ষণ সূত্রধর প্রমুখেরা সালিশী চেষ্টা করলে তপনের লোকজন সায় না দেয়ায় উভয় পক্ষের মাঝেই উত্তেজনা বিরাজ করছে।
Leave a Reply