নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনি মাধবপুর উপজেলা সদরে রমরমা ব্যাবসা চলছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনিরর জমজমাট ব্যবসা এখন ওপেন সিক্রেট। বাজার মনিটরিং বা তদরকি না থাকায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে।
মাধবপুর বাজারের পাইকারী ও খুচরা চিনি বিক্রেতারা চোরাই পথে আসা চিনি নিজ নিজ গুদামে ও দোকানে রেখেই বিক্রী করছেন। একাধিক সীমান্ত দিয়ে বালি ভর্তি ট্রাকে করে এসব চিনি আসায় চিনির সাথে বালি মিশ্রিত হচ্ছে। বালি মিশ্রিত চিনি ক্রেতারা ক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাধবপুর বাজারের পাইকারী চিনি ব্যবসায়ী , বাজার মুদি ও ষ্টেশনারী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি স্বপন রায়ের নেতৃত্বে সীমান্তের অপার থেকে বালি বোঝাই ট্রাকে করে চিনি আনার অভিযোগ রয়েছে। এসব পাচারের সাথে স্থানীয় রাজনীতিক ও প্রভাবশালী একটি চক্র সহ কোন কোন সংবাদকর্মী জড়িত বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ ব্যাপারে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি স্বপন রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভারতীয় চোরাই চিনি তারা বিক্রী করেন না। অকশনের চিনি তারা বিক্রী করেন। এ সব অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবী করেন। অথচ স্বপন রায়ের তত্বাবধানেই ভারতীয় বালি মিশ্রিত চিনি মাধবপুরের সর্বত্র প্রকাশ্যে বিক্রী হওয়ার এন্তার অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদক, চিনি সহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য বিজিবি সদস্যরা প্রায়ই উদ্ধার, আটক ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করে আসলেও চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না। বিজিবির টহল ও নজরদারী আরো বৃদ্ধি করা হলে সীমান্তের ওপার থেকে নিষিদ্ধ পণ্য চোরাই পথে আসা বন্ধ হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
Leave a Reply