স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট মডেল মসজিদের ইমাম হাবিবুর রহমান (৩০) কে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তার নিয়োগ পদ্ধতি এবং একসাথে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর বৈধতা নিয়ে। বর্তমানে তিনি চুনারুঘাট মডেল মসজিদের ইমামতি ও এমপিও ভূক্ত প্রতিষ্ঠান চাটপাড়া ফাযিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। যাতে করে মডেল মসজিদের দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত ঘটছে। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ( মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ১১.১০ এর ক এ বলা হয়েছে ; এমপিও প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারী শিক্ষক- কর্মচারীগণ একই সাথে একাধিক পদে চাকরীতে বা আর্থিক লাভজনক কোন পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। মডেল মসজিদে নিয়োগ বিতর্ক নিয়ে যে বিষয়গুলো সামনে এসেছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তমোতাবেক যে যোগত্যতাগুলো আমলে নেওয়া জরুরি ছিলো নিয়োগ বোর্ড তা পর্যবেক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়। নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যব্যক্তিদের সেখানে স্থান দেওয়া হয়নি এমনটাই দাবি করছেন অনেকে। নীতিমালায় বলা আছে ; কোনো প্রতিষ্ঠানে খতিব-মুফতি বা মুহাদ্দিস হিসেবে পাঁচ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এর কোনোটিই তার মাঝে নেই। ইমাম ও খতিব হিসেবে যে অভিজ্ঞতা সনদ পেশ করা হয়েছে সেটা ভূয়া প্রমাণিত হয়। অভিজ্ঞতা সনদে তিনি উল্লেখ করেন চুনাচুং বাজার জামে মসজিদে পাঁচ (১৩-১৭) বছর ইমামতি করেন কিন্তু তার একাডেমী সনদ যাচাই করলে দেখা যায় ওই বৎসরগুলোতে তিনি ঢাকায় একটি আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছিলেন। অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে নীতিমালায় আরো বেশ কিছু শর্ত দেয়া ছিলো যার অনেকটাই তার মাঝে অনুপস্থিত কিন্তু অনান্য আবেদনরকারীগণ বলেন তাদের মাঝে এ সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাদের অগ্রাধিকার না দিয়ে প্যানেলে রাখা হয়েছে । মডেল মসজিদের মুসল্লীরা অনেকেই জানান, তার কোরআন তেলাওয়াত অশুদ্ধ এবং যোহর ও আসরের নামাযে তাকে প্রায়দিন পাওয়া যায় না । কারণ এই সময়ে তিনি মাদ্রাসায় কর্মরত থাকেন। মডেল মসজিদের ইমাম পদে অনান্য আবেদনকারীগণ জানান, ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে আমাদের সাথে অবিচার করা হয়েছে। আমরা চাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তমোতাবেক যোগ্যব্যক্তিকেই মডেল মসজিদের ইমাম নিয়োগ করা হোক।
Leave a Reply