নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একে এম ফয়সাল অবশেষে কলঙ্কের কালিমা নিয়ে মাধবপুর ছাড়ছেন। ইউএনও’র ভিন্নমুখী দূর্নীতির ঘটনা দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। ইউএনও বদলী বেশ আগে হলেও তিনি নানারকম অজুহাতে মাধবপুর ছাড়তে বিলম্ব করছিলেন। হবিগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনে ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দ নিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠে। ৫০ লাখ টাকার বরাদ্ধ তিনি একা ভোগ করেননি,তার গঠিত সিন্ডিকেট নিয়েই করেছেন। তিনি তো মধু খেয়ে চলে যাচ্ছেন, কিন্তুু তার সাঙ্গপাঙ্গরা কি আইনের আওতায় আসবে? এ প্রশ্ন এখন জনমনে। উল্লেখ্য, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (এম.পি) কৌটায় বিশেষ বরাদ্দের ৫০ লক্ষ টাকা ভাগবাটোয়ারা অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজনৈকিত নেতা ও সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে। মনগড়া প্রকল্পের মোটা অংকের টাকা ভাগভাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করার কথা চাউর হয়েছে জনমনে। বরাদ্দের ফাইল নিজ হেফাজতে রেখে তথ্য না দেওয়ার জন্য কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল। বিশেষ বরাদ্দের প্রকল্পের কাগজপত্র স্থাানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান দপ্তরে রক্ষিত থাকার কথা থাকলে একমাত্র ইউএনও কুক্ষিগত করে রেখেছেন। নিজ স্বার্থ হাসিলে গোপনীয়তা রক্ষায় ইউএনও’র স্বচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সচেতন মহলের মাঝে। জানা গেছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সংসদ সদস্যের কোটায় বিশেষ বরাদ্দ হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা। বরাদ্দকৃত ওই টাকা নিজ নিজ সংসসদীয় এলাকায় পছন্দমতো রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, হাটবাজারের মতো অবকাঠামো উন্নয়ন করার কথা ছিল। ওই বরাদ্দের ২লক্ষ টাকা পর্যন্ত একজন জনপ্রতিনিধিকে সভাপতি করে প্রজেক্ট ইম্প্রিমেন্ট কমিটি (পিআইসি) করে ব্যয় করা যায়। অন্যথায় টেন্ডার আহ্বান করার বিধান রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহনকৃত প্রকল্পগুলো পুরোপুুরি সম্পন্ন না করেই পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নেন ইউএনও। ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়েছে। সেই সুযোগে বিশেষ বরাদ্দের টাকা মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কতিপয় রাজনৈতিক নেতা, সংবাদকর্মী মিলে ভাগবাটোয়রা করে নেন। নামমাত্র ড্রামশীট, রেইনকোটের মতো অপ্রয়োজনীয় ভূয়া প্রকল্প তৈরী করে মানহীন কাজে টাকাগুলো বিলিবন্ঠন করা হয়। যা সরজমিনে তদন্ত করলে মনগড়া প্রকল্পগুলোর প্রমাণ বেরিয়ে আসবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুধুমাত্র সাবেক সংসদ সদস্যের বরাদ্ধই নয় বিভিন্নভাবে সরকারী অর্থ তসরূপ করার অভিযোগ ও রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি ধরাকে সরাজ্ঞান করে কতিপয় স্থানীয় কোন কোন রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীকে তুষ্ট করে সরকারী টাকার হরিলুট করে চলেছেন। এ ব্যাপারে সরকারের উর্দ্ধতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন মাধবপুরবাসী।
Leave a Reply