স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের গ্রামীণ ফোনের বিকাশের এক সময়ের ডিএসও শায়েস্তাগঞ্জ থানার নুরপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের পুত্র ফরহাদ আহমেদ রকির প্রতারনার শিকার হয়ে অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছেন। তন্মধ্যে বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি ভাটপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী নাজমুল হক অন্যতম। গ্রামীণ ফোনের বিকাশের ডিএসও হিসাবে ব্যবসায়ী নাজমুল হকের সাথে ফরহাদ রকি একটি সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিভিন্ন প্রলুভন দিয়ে নাজমুল হকের কাছ থেকে বিকাশ লোড ও সেন্ড মানির মাধ্যমে টাকা পয়সা আনতে থাকে। এক পর্যায়ে ফরহাদ আহমেদ রকির কাছে নাজমুল হকের পাওনা দাড়ায় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। টাকা পরিশোধে চাপ প্রয়োগ করলে ফরহাদ এড়িয়ে চলা শুরু করে। পরে ফরহাদ আহমেদ রকির চাচা আব্দুল লতিফ, ইউপি মেম্বার আছকির মিয়াসহ ময়মুরুব্বীদের মাধ্যমে সালিশ বিচারে ফরহাদ আহমেদ রকি স্বীকার করে যে, নাজমুল হকের পাওনা ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা সে পরিশোধ করবে। মুরুব্বীদের মাধ্যমে সে ১ লাখ টাকা পরিশোধও করে। পরে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা পরিশোধে গড়িমসি শুরু করে। বেশ কয়েকদিন পূর্বে নাজমুল হক ও তার লোকজন বাহুবলে ফরহাদ আহমেদ রকিকে আটক করলে বিকাশের ম্যানেজার সুমন মিয়া, স্বপন মিয়াসহ ফরহাদ রকির আত্বীয় স্বজনের মাধ্যমে সালিশ বিচার হয়। সালিশ বিচারে ফরহাদ আহমেদ রকি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার একটি চেক দেয় এবং অবশিষ্ট টাকা নগদে পরিশোধ করবে বলে জানায়। নাজমুল হক সেই চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান। ঘটনার পর থেকে ফরহাদ আহমেদ রকি আবারও আত্বগোপন করে চলেছে। তাকে সচরাচর পাওয়া যায় না। এব্যাপারে ব্যবসায়ী নাজমুল হক জানান- তাকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্দ করে ফরহাদ আহমেদ রকি সর্বশেষ ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্বসাত করেছে। পাওনা টাকা না দিয়ে সে আত্বগোপন করে আছে। বিভিন্ন সময় সে আত্বগোপনে থেকে হুমকিও দিচ্ছে। এব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান। এব্যাপারে আব্দুল লতিফ জানান- ফরহাদ আহমদ রকি ব্যবসায়ী নাজমুল হকের টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি টাকা পরিশোধ করেনি।
Leave a Reply