স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুর পৌরসভার সভাপতি হাজী গোলাপ খাঁন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর মোঃ বাবুল হোসেনকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের স্বজন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাদের আশ্রয়ে থেকে পূর্ব মাধবপুর গ্রামের কুখ্যাত দাদন ও মাদক ব্যবসায়ী শ্রমিক লীগের কর্মী গুনি মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া, রফু মিয়ার ছেলে মাধবপুর পৌর শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আশিকুল ইসলাম পাঠান উজ্জ্বল ও ছত্তর মিয়ার ছেলে এমরান মিয়া এর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রসী দল গঠন করে মাধবপুর পৌর শহরসহ আশপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দাদন ও মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে অবলীলায়। এ ব্যাপারে তৎকালিন সময়ে থানা ও আদালতে ভূক্তভোগিরা বহু মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন সময় আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে আবারও এসব অপকর্মে লিপ্ত হয়। তাছাড়া ৪ আগস্ট মাধবপুর পৌর শহরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও তাদের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার উপর হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ জ¦ালিয়ে দেয়। এসব ঘটনায় বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করলে দুর্বৃত্তরা ক্ষুদ্ধ হয়। ফলে ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ও রাতে পৌর বিএনপির সভাপতি গোলাপ খান, যুবদল কর্মী সিরাজুল ইসলাম ও শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ এমরানের উপর অর্তকিতে হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুবৃর্ত্তরা তাদের প্রাণে মেরে ফেরার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ৩ ডিসেম্বর পৌর বিএনপির সভাপতি গোলাপ খাঁন, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ এমরান ও ৪ ডিসেম্বর মোঃ বাবুল হোসেন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরীর কথা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply