স্টাফ রিপোর্টার ॥ বালু মহাল ইজারা দিয়ে রাজস্ব আদায় সরকারের লাভজনক হলেও জনজীবন বিপন্নের মত আশংকাও রয়েছে। বিশেষ করে খোয়াই নদীর কয়েকটি অংশে বালু না থাকলেও বিগত দিনে এসব মহাল ইজারা দেয়ার ফলে ইজারাদাররা নদীতে বালু না পেয়ে নদীর বাঁধ কেটে মাটি তুলে নিচ্ছে। ফলে নদীর বাঁধ চরম হুমকির সম্মুখীন। এব্যাপারে গত বছরের অক্টোবর মাসে জেলা রাজস্ব শাখার এক বৈঠকের সিদ্ধান্তানুযায়ী চুনারুঘাট সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিন তদন্তপূর্বক এক প্রতিবেদন জেলা প্রশাসন বরাবর প্রেরণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয় ” খোয়াই নদী (উবাহাটা) বালু মহাল ১৪৩১ বাংলা সনে ইজারা প্রদান করা হলেও তাতে কোন বালু নেই। বালু না থাকলেও ইজারাদারগন বাঁধের নিকট থেকে মাটি কেটে নিচ্ছেন। ফলে নদী রক্ষা বাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কারনে বালু মহালটি বিলুপ্তি হওয়া প্রয়োজন। এদিকে দেওছড়া বালু মহালটি ১৪২৯ বাংলা সন থেকে ইজারা দেয়া হলেও সেখানে কোন বালু নেই। ফলে এ মহালটি বিলুপ্তি হওয়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। খোয়াই নদী (রাজার বাজার) (পাকুরিয়া) (নরপতি- ঘরগাও) এই তিন মহাল হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে সিদ্ধান্ত গ্রহনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তুু জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা থেকে কোন কার্যকর পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি। এদিকে বাল্লা থেকে হবিগঞ্জ পর্যন্ত খোয়াই নদীর অসংখ্য স্থান থেকে দিনরাতে বালু, মাটি তোলা হচ্ছে সরকারী ইজারার নামে। প্রকৃতপক্ষে আদৌও ওই স্থানগুলো সরকারীভাবে ইজারা আছে কি না তা দেখার কেউ নেই। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)মাহবুব আলম মাহবুব অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযান, জরিমানা করেছেন। কিন্তুু আগ্রাসী এই চক্রকে কোন অবস্থাতেই নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।
Leave a Reply