স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুস সোবহান দলিল লেখকদের নানাভাবে হয়রানি ও ঘুষ দাবীর অভিযোগ রয়েছে। তিনি ঘুষের টাকা না দিলে কোন দলিলই সম্পাদন করতে চান না। সফিক মিয়া নামের এক জমি বিক্রেতা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবরে সাব রেজিস্ট্রারের অনৈতিক কাজের প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে, তারা ৩ ভাই ৪০ শতক জমি বিক্রি করার জন্য চুনারুঘাট সাবরেজিস্ট্রারী অফিসে যান। শফিক মিয়ার মেজো ভাই কিছুটা অসুস্থ থাকায় সাব রেজিস্ট্রার অফিস সহায়ক অমল বাবুকে দিয়ে যাচাই বাছাই করেও তাদের জমি রেজিস্ট্রারী করেননি। সাব-রেজিস্ট্রার বাড়ীতে কমিশন নিয়ে রেজিস্ট্রারী করার কথা বলেন। অফিসের স্টাফসহ দলিল লেখকগণও অনেক অনুরোধ করা সত্তেও সাব-রেজিস্ট্রার সকলের অনুরোধ উপেক্ষা করেন। সাব রেজিস্ট্রার আব্দুস সোবহান শুধু শফিক মিয়ার সাথে এহেন আচরণ করেননি। দলিল লিখকসহ জমি কেনা-বেচা করতে আসা বিভিন্ন লোকজনের সাথেও অসদাচরণসহ ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। এছাড়া কাজী এম এ খালেক নামের একজন দলিল লিখক সাব রেজিস্ট্রার আব্দুস সোবহানের বিভিন্ন অনিয়ম অব্যবস্থার প্রতিবাদ করলে তাকেও সাব-রেজিস্ট্রার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। কাজী এম এ খালেকের নিবন্ধন বাতিলের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুলিপি প্রদান করেন।
দলিল লিখকদের অভিযোগ- চুনারুঘাট সাব রেজিস্ট্রার আব্দুস সোবহান যোগদানের পর থেকেই জমি ক্রেতা-বিক্রেতা, দলিল লিখকদের হয়রানিমূলক আচরণের শিকার হতে হচ্ছেন। ঘুষ ছাড়া কোন দলিল তিনি রেজিস্ট্রারী করেন না বলে অনেকেরই অভিযোগ। ঘুষ না দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রারী করেন না তিনি। এসব বিষয়ে চুনারুঘাট সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুস সোবহান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নাম ধরে কেউ ঘুষ নিলে আমার কি করার আছে। আমি দলিল সঠিক হলে সম্পাদন করি নতুবা ফিরিয়ে দেই।
Leave a Reply