চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার হোসানীয়া জামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা (নতুনব্রীজ) হিফজ বিভাগের ছাত্র বলৎকারের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষককে আসামি করে মামলা করেছেন শিশুর মা পারভীন আক্তার। গতকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতে চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম এর স্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষক বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের আওয়াল মল গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০) কে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলা এফ.আই.আর হিসেবে রুজু করার জন্য চুনারুঘাট থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম হোসানীয় জামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হাফিজি শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাদীর ছেলে মোঃ তাহিমুল ইসলাম কনক ওরফে বোরহান উদ্দিনকে কোরআন হাফেজি শিখার জন্য ২ বৎসর আগে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়। সে কোরআন শরীফের ১৫ পারা মুখস্ত করেছে। গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ওই ছাত্রের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার শিক্ষকের রুমে ডেকে বলৎকার করেন। শুধু বাদীর ছেলেই নয় অন্য ছাত্রদেরও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলৎকার করে। বাদীর ছেলে ও তার সহপাঠীরা শিক্ষক ও লোক লজ্জার ভয়ে বলতে সাহস পায়নি। বাদীর ছেলে ছাড়াও তার সহপাঠী আব্দুল্লাহকেও কয়েকবার বলৎকার করা হয়েছে। গত ২১ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি বাদীর ছেলে মোঃ তাহিমুল ইসলাম কনক ওরফে বোরহান উদ্দিন কে শিক্ষক সাইফুল ইসলামের রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলৎকার করে। তার ছেলের চিৎকার চেঁচামেচিতে সহপাঠী আব্দুল্লাহ সহ অনেকে এসে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি বাদী জানতে পেরে পরের দিন আত্মীয় স্বজন সহ চুনারুঘাট থানা পুলিশ তাকে গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বাদীর ছেলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply