লাখাই প্রতিনিধি ॥ লাখাই উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে শীতের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষা ফুল। মাঠগুলো যেন প্রকৃতির অপরূপ এক দৃশ্যকাব্য। সরিষা ফুলের সৌন্দর্যে ভরপুর এই ক্ষেতগুলোতে মৌমাছির গুঞ্জন পরিবেশকে আরও মুখরিত করে তুলেছে। সরিষা চাষে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলার করাব, মুড়িয়াউক, মোড়াকরি, বামৈ ও কামালপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে সরিষার ক্ষেতগুলো ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা সরিষা চাষে আশার আলো দেখছেন।
উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য ছিল। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ১ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ২৬০ হেক্টর কম।
এক কৃষক জানান, তিনি এবার ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন এবং ফলন নিয়ে বেশ আশাবাদী।
আরেক কৃষক জানান, তার ৪-৫ বিঘা জমিতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা চাষের একটি বড় সুবিধা হলো, এটি ধানসহ অন্যান্য ফসলের চাষে কোনো বাধা সৃষ্টি করে না। মাত্র দুই মাসের মধ্যেই সরিষা ঘরে তোলা যায়, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক।
এ বছর বারি সরিষা-১৪, ১৭, ১৮ এবং বিনা-০৯, ১১ জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ ৯৫০ জন কৃষককে প্রণোদনার মাধ্যমে ১ কেজি সরিষা বীজ এবং ১০ কেজি এমওপি ও ডিএপি সার বিনামূল্যে দিয়েছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন জাতের সরিষা সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, সরিষার আবাদ শুরুর দিকে টানা দুইবার বৃষ্টিপাতের কারণে চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে এখন ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
Leave a Reply