বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মানবিকতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত নবীগঞ্জের দুই সাহসী সাংবাদিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হন পাঁচ সাংবাদিক সিলেটের তামাবিল দিয়ে ভারতে গেল প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম নবীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফলজ চারা বিতরণ আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেসা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি তদন্তে দুদক চুনারুঘাটের নারী শ্রমিককে ভৈরবে ধর্ষণ করল কারখানা মালিক শায়েস্থাগঞ্জ ও অলিপুর মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল সওজ চুনারুঘাটের আমু বাগানের চা শ্রমিক মায়ের আর্তনাদ ৩০ বছর কারাগাভোগের পর মুক্ত হলেন লাখাই’র কনু মিয়া বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সফল হবেনা শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে এসএম ফয়সল
৩০ বছর কারাগাভোগের পর মুক্ত হলেন লাখাই’র কনু মিয়া

৩০ বছর কারাগাভোগের পর মুক্ত হলেন লাখাই’র কনু মিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হত্যা মামলায় বিচার হয়নি, সাজাও হয়নি। কেবল একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মানসিক রোগী কনু মিয়া কারাগারে কাটিয়ে দিয়েছেন টানা ৩০ বছর ২ মাস ১৯ দিন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সরকারি আইনি সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) হস্তক্ষেপে মুক্তি পাচ্ছেন তিনি। এর আগে গত সোমবার তার জামিন মঞ্জুর হলেও কারাগারে জামিন নামা না পৌঁছায় তিনি মুক্তি পাননি। গতকাল মঙ্গলবার মুক্তি পেয়েছেন। জানা যায়, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রাম গ্রামের মৃত চিনি মিয়ার ছেলে কনু মিয়া ১৯৯৫ সালের ২৫ মে ঘুমন্ত অবস্থায় কুদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তার মা মেজেষ্টর বিবিকে। মানসিক ভারসাম্যহীন কনু মিয়াকে গ্রেফতারের পরদিন আদালতে মাত্র তিন লাইনের একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর শুরু হয় তার দীর্ঘ বন্দিজীবন। তবে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত ছিল। এতে বছরের পর বছর আটকে থাকেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, কনু মিয়া আর বেঁচে নেই। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি নজরে আনেন হবিগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মুহম্মাদ আব্বাছ উদ্দিন। তিনি মামলার বাদী মনু মিয়া ও তার ভাই নাসু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতায় কনু মিয়ার জামিনের উদ্যোগ নেন। গত ১৪ জুলাই হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে লিগ্যাল এইডের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ জামিন আবেদন করলে বিচারক জেসমিন আরা বেগম সেটি মঞ্জুর করেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩ দশক পর মুক্তি পেয়েছেন কনু মিয়া। এ উদ্যোগের জন্য লিগ্যাল এইড অফিসার ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com