শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার তালুগড়াই গ্রামের বাসিন্দা ছালেক মিয়া। কর্মজীবনে তিনি হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। চালাতেন রোলার গাড়ী। লোকজন তাকে রোলার চালক বলতেন। সেখান থেকে রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক হতে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন। নিরাশ হতে হয়নি তাকে। সংশ্লিষ্টদেরকে ম্যানেজ করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হন। পরে নির্বাচিত হন শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি।পরে জেলা আওয়ামীলীগের আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলের প্রভাব খাটিয়ে মেয়রের পদ ভাগিয়ে নেন। ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। দু হাতে আয় রোজগারে মেতে উঠেন। একজন রোলার চালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। ঠিকাদারি , মাদক ব্যবসা সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যান। সিএনজি অটোরিক্সার নিয়ন্ত্রন সহ সব ধরনের ঠিকাধারি তার হাতেই নিয়ন্ত্রন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে পৌর বাসির দাবি। কোন এক সময় তিনি জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তবুও হাল ছাড়েননি। সহধর্মিনীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও করেছিলেন ।পৌর মেয়রের ক্ষমতা বলে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন,অলিপুরও নতুন ব্রীজ এলাকার মাদক সহ সবধরনের অপরাধ কর্মের নিয়ন্ত্রক ছিলেন ছালেক মিয়া। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে হামলার দায়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও এখনো সে গ্রেফতার হয়নি। আইনী চোখকে ফাঁকি দিয়ে এখনো সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ছালেক মিয়া এখন কোথায় তা কারো জানা নেই।
Leave a Reply