স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঐতিহ্যবাহী যোগেন্দ্র কিশোর ও হরেন্দ্র কিশোর ( জে কে এন্ড এইচ কে) হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর প্রতিষ্ঠার ১শ বছর উপলক্ষ্যে জাকজমকপূর্ণ শতবর্ষ পূর্তি উৎসব ও শিক-শিার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যা”েছ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী শনিবার। গত ছয় বছর ধরে প্র¯’তির বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে। স্কুল প্রাঙ্গন ও খেলার মাঠ প্রস্তুত ৩ হাজার প্রাক্তন শিার্থীকে স্বাগত জানাতে। যদিও গত সপ্তাহ থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন প্রাক্তন শিার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ৮ টায় রিপোর্টিং ও উপহার সামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে। সকাল সাড়ে ৮ টায় বর্ণাঢ্য শুভাযাত্রা স্কুল প্রাঙ্গন শতবর্ষ পূর্তি উৎসব শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদণি করে আবার স্কুল প্রাঙ্গনে শেষ হবে। সাড়ে ৯ টায় পরিবেশন করা হবে সকালের নাস্তা। ১০ টায় শুরু হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান, শতাব্দীর পদচিহ্ন শিরোণামে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হবিগঞ্জের কৃতিসন্তান ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। উদ্বোধন করবেন হবিগঞ্জ পৌরসভা পদত্যাগকারী মেয়র ও প্রাক্তন শিার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোঃ ফরিদুর রহমান, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্য ও জে কে এন্ড এইচ কে হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর পরিচালনা (এডহক) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ হারুন মিয়া, হবিগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান, বিশিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন শিার্থী ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক আবুল হাসান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করবেন শতবর্ষ পূর্তি ও শিক-শিার্থী পূণর্মিলন অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহবায়ক এবং মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন শতবর্ষ পূর্তি ও শিক-শিার্থী পূণর্মিলন অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতু। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ও বর্তমান শিকদের সম্মাননা জানানো হবে। বেলা ১২ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে রক্তদান কর্মসূচী ও একই সময়ে খেলার মাঠে চলবে বর্তমান ও প্রাক্তন শিার্থীদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ এবং ছাত্রী ও শিকিাদের মিউজিক্যাল চেয়ার, বেলুন ফুটানো প্রতিযোগিতা। যোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর বেলা আড়াইটায় শুরু হবে ব্যাচ পরিচিতি ও স্মৃতিচারন। আসরের নামাজের বিরতির পর বিকেল সাড়ে ৪ টায় অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান শিকদের স্মৃতিচারন। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে শুরু হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন মাইনুল আহসান নোবেল, সালমা আক্তার, সৈয়দ আশিকুর রহমান, বাঁধন মোদকসহ স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিার্থী, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীবৃন্দ। সবশেষে থাকবে জনপ্রিয় ব্যান্ড বাগধারার পরিবশনে ব্যান্ড শো। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানান সাংস্কৃতিক ও সাজসজ্জা উপকমিটির আহবায়ক গোলাম মাওলা। উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও সাবেক কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতু বলেন, এ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে গর্বিত মনে করছি। এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাও গর্বের বিষয়। রাষ্ট”, সমাজ ও প্রশাসনে এ স্কুল থেকে পাস করা ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশ ও জাতি গঠনে অংশ গ্রহণ করতে পারছে। আমি মনে করি এ স্কুল দেশ মাতৃকার সেবায় প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। আমরা চেষ্টা করছি, স্কুলের এই গৌরবজ্জ্বোল ভূমিকা এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে অনুপ্রানিত করতে। এদিকে শতবর্ষ পূর্তি উৎসব উপল্েয একমাস ধরে চলছে স্কুলের আশে পাশের সড়কগুলোতে আলোকসজ্জা। সংস্কার করা হয়েছে বিশাল খেলার মাঠ ও পুকুর। ভবনসমূহ সাজানো হয়েছে সুদৃশভাবে। রং বেরং এর ব্যানার, ফেস্টুনে সয়লাব স্কুলসহ আশেপাশের এলাকা। গত ১৫ দিন ধরে প্রতিরাতেই আয়োজন করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিষয় ভিত্তিক সেমিনার। হবিগঞ্জ পৌরসভা পুরো শহরে সম্পন্ন করছে পরিষ্কার পরিছন্নতা অভিযান। শহরের সবকটি প্রবেশমূখে স্থাপন করা হয়েছে তোরণ। স্থাপন করা হয়েছে দুটি বিশাল মঞ্চ। জেলার সর্বত্র ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে। হবিগঞ্জ শহর যেন এক উৎসবের নগরী। জে কে এন্ড এইচ কে হাইস্কুল এন্ড কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব ও শিক-শিার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হলেও এটি হবিগঞ্জের শিাঙ্গনের একটি উদাহরন হয়ে থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উদযাপন পরিষদের আহবায়ক এবং মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক।
Leave a Reply